২৭ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে ফেঁসে গেলেন এসপি বাবুল!

চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হ’ত্যা’কা’ণ্ড নতুন মোড় নিয়েছে। এ ঘট’নার বাদী সাবেক এসপি বাবুল আকতারই এখন এ হ’ত্যা’কা’ণ্ডের প্রধান আ’সা’মি। তাকে ৫ দিনের রি’মা’ন্ডে পাঠি’য়েছেন আদালত। মূলত ২৭ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে পাল্টে যায় মিতু হ’ত্যা’কা’ণ্ডের মা’ম’লার গতিপথ। এতেই বেরিয়ে আসে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের এই হ’ত্যা’কা’ণ্ডে জ’ড়িত থাকার প্রমাণ।

বুধবার মা’ম’লার ত’দন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, মিতুকে হ’ত্যা’কা’ণ্ডের দিন সকাল ৭টা ৩৭ মিনিটে মুছা নামের এক ব্যক্তির মোবাইলে ফোন করেন বাবুল আক্তার। সালাম দিয়ে মুছা ফোনটি রিসিভ করতেই ওপার থেকে বাবুল আক্তার বলেন, ‘তুই কো’পা’লি ক্যা’ন?’ ৩ থেকে ৪ সেকেন্ড থেমে আবার বলেন, ‘বল তুই কো’পা’লি ক্যান?

তোরে কো’পা’তে ক’ইছি?’ এর পর ফোনের সং’যোগ বি’চ্ছি’ন্ন করে দেন বাবুল আকতার। হ’ত্যা’কা’ণ্ডে’র প্রায় দুই সপ্তাহ পর পুলিশের কাছে এই ফোন রেকর্ড আসার পর ঢাকার বনশ্রী শ্বশুরের বাসা থেকে ঢাকা গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয় বাবুল আক্তারকে। গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা জি’জ্ঞাসা’বাদের মুখোমুখি থাকার পর তিনি পুলিশের চাকরি থেকে পদ’ত্যাগপত্র দিয়ে মুক্তি পান। যদিও বাবুল বলছেন তাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।

শুরু থেকেই পুলি’শের স’ন্দেহের তালিকায় ছিলেন বাবুল আকতার। তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন তার মেয়ের হ’ত্যা’কা’ণ্ডের সঙ্গে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। সর্বশেষ ১১ মে বাবুল আক্তারকে ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে দিনভর জি’জ্ঞাসা’বাদ করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো বিভাগের কর্মকর্তারা। এরপর তাকে পিবিআই হেফাজতে রাখা হয়। তার বিরুদ্ধে নতুন করে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করবেন মিতুর বাবা।

এই মা’ম’লায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আ’সামি করা হয়। বর্তমানে বাবুল আক্তার ওই মা’মলা’য় ৫ দিনের রি’মা’ন্ডে আছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় স’ড়কে খু’ন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু।

পদো’ন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদফতরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। হ’ত্যা’কা’ণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আ’সা’মি করে মা’ম’লা করেন বাবুল। তবে পুলিশ তদন্তে তার সম্পৃক্ততার গুঞ্জন ছিল আগে থেকেই।

এরপর তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। বাবুলের দাবি তার স্ত্রী জঙ্গি হা’ম’লায় নি’হ’ত হয়ে থাকতে পারেন। তবে তার শ্বশুরের দাবি, বাবুল এক এনজিওকর্মীর সঙ্গে পরকীয় করছিলেন। বিষয়টি জেনে ফেলায় মিতুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলেন বাবুল।